উসমান

কুরুলুস উসমান ১৩৫ ট্রেইলার রিভিউ

কুরুলুস উসমান ১৩৫ ট্রেইলার রিভিউ

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সকলেই ভালো আছেন, অনুবাদ আর্তুগ্রুল ইউটিউব চ্যানেল এবং ঐতিহাসিক তুর্কীরা ফেসবুক পেজের আরো একটি নতুন এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম। কুরুলুস উসমান ভলিউম ১৩৪ এক কথায় অসাধারণ একটি পর্ব ছিল, পুরো পর্ব জুড়ে ছিল ইয়াকুব বের মারাত্মক সব পরিকল্পনা, কিন্তু হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না উসমান বে,

কিন্তু কুরুলুস উসমান সিজন ৫ য়ে এখন পর্যন্ত চার দিক থেকেই যেন ব্যর্থ হচ্ছে উসমান বে, ইয়াকুব বে ও বাইজেন্টাইন গুপ্তচর ভ্যাসিলিস এর পরিকল্পনায় বারবার পরাজিত হচ্ছে উসমান বে, তবে ভিন্ন সব পরিকল্পনা নিয়ে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে উসমান বে, খুব শীগ্রই আমরা উসমান বের সাহসী ও জটিল সব পরিকল্পনা দেখতে পাবো শক্রর বিরুদ্ধে, আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করবো,

ভলিউম ১৩৫ য়ে বায়েন্দার বের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে কি? কেন তাকে এতো মারাত্মক ভাবে ফাসানো হলো, নাকি এটাও উসমান বের একটি ফাঁদ? এছাড়াও বোরান আল্পের শেষ পরিনতি কি হবে? এবং ট্রেইলারে দেখানো মঙ্গল বাহিনী আগমনের মূল কারন কি? এবং কিভাবে উসমান বে চারপাশের এই বিপদ মোকাবেলা করবে,, সব প্রশ্নের উত্তর জানবো আজকের ভিডিওতে,,সুতরাং এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভিডিওটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।

প্রথমেই বায়েন্দার বের মৃত্যুদন্ড নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক, গত পর্বে আমরা দেখতে পেয়েছি,,বাইজেন্টাইন গুপ্তচর ভ্যাসিলিস এর ওস্তাদ আয়হান আগা নামে এক ব্যক্তি, ব্যবসায়ী সেজে উসমান বের বিশ্বার অর্জন করেছে,, এবং তার প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে উসমান বের বিশ্বস্ত সব আল্পদের শেষ করা, যাতে উসমান বে দূর্বল হয়ে পড়েন, এই লক্ষেই গত পর্বে তার সিদ্ধান্তেই বোরান আল্পের উপর মারাত্মক আক্রমণ চালানো হয়,

এবং উরহান বের কষ্টার্জিত স্বর্নগুলো চুরি করা হয়,, ভলিউম ১৩৫ এর ট্রেইলারে আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সব অপরাধের জন্য বায়েন্দার বেকে অপরাধী করা হয়েছে, এবং উসমান বে তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন, সত্যিই কি তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে? মূলত গুপ্তচর ভ্যাসিলিস এমন একটি পরিকল্পনা করবে যাতে সব প্রমান এটাই ইঙ্গিত করে যে বায়েন্দার বে এই সব ঘটনার জন্য দোষী, এর ফলে উসমান বে স্বর্নও হারাবে, বায়েন্দার বেকেও হারাবে আবার বোরান আল্পও আহত,

কিন্তু নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে শক্রর এমন সব পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিবেন উসমান বে, বায়েন্দার বের কিছুই হবে না, দুটি পরিস্থিতি হতে পারে, প্রথমত শক্ররা এমন সব প্রমান বায়েন্দার বের বিরুদ্ধে দায়ের করবেন,সব দেখে উসমান বে সত্যি বায়েন্দার বেকে দোষী মনে করবেন এবং মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে যাবেন,

এমন সময় সেখানে উপস্থিত হবেন দরবেশ ইউনুস এমরে,,তার কথা বা তার কোন তথ্যের ফলে উসমান বে বায়েন্দার বেকে মুক্ত করে দিবেন, দ্বিতীয়ত এমন হতে পারে, উসমান বে বুঝতে পারবেন ভিতরে কোন বিশ্বাসঘাতক গুপ্তচর আছেন, তাকে ধরার জন্যই উসমান বে এমন মৃত্যুদন্ডের নাটক করবেন, যাতে সে সহজে সেই গুপ্তচর কে ধরতে পারেন, সুতরাং নির্ভরযোগ্য তথ্য ও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্পষ্ট হচ্ছে আগামী পর্বে বায়েন্দার বের মৃত্যু হবে না।

এবার আসুন বোরান আল্পের বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা করি, পর্বের শেষে আমরা দেখতে পাই মারাত্মক আঘাত পেয়ে বোরান আল্প কালিমা পড়ছেন, তাহলে কি তার মৃত্যু দেখানো হবে, নির্ভরযোগ্য তথ্য বলছে বোরান আল্প মরবে না, কারন ভলিউম ১৩৫ য়ের ট্রেইলারে বোরান আল্পকে দেখানো হয়েছে, বোরান আল্প আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছেন,জেরকুতায় আল্প তাকে দেখতে আসছেন, এছাড়াও ট্রেইলারে উরহান বে বলছেন,

বায়েন্দার বেকে দোষী করা হয়েছে সেনাদের হত্যা এবং স্বর্ন চুরির জন্য, বোরান আল্পের মৃত্যু হলে অবশ্যই তার নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হতো৷ এছাড়া আমরা আরো অনেক আগেই আমাদের ভিডিও তে বলেছিলাম বোরান আল্পের মৃত্যু হবে না, এর পিছনে যুক্তি ও কারনও উল্লেখ করেছিলাম, তবে বোরান আল্পের এমন অবস্থা দেখে জেরকুতায় আল্প হয়তো তার ভুল বুঝতে পারবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন৷

গত পর্বের কিছু দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করছেন, অনেকে বলছেন: গত এপিসোডে খুবই মজার একটা বিষয় ঘটিয়েছে মেহমেদ বুজদাগ। উসমান বের রাজপ্রাসাদে মাত্র ১০জন সৈন্য নিয়ে এসে রাজকোষ দখল করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই না। ওরহান বে এতোকষ্ট করে গুপ্তধন উদ্ধার করলো আর শেষে কিনা এই রাজকোষের নিরাপত্তা একটুও নেই। উসমান বের রাজপ্রাসাদেই যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে অন্যান্য দুর্গগুলোর কি রকম নিরাপত্তা থাকবে, দেখেন

মূলত তারা কিন্তু সরাসরি রাজপ্রাসাদে আক্রমণ করেনি, তারা গুপ্তচরের মাধ্যমে লোকিয়ে প্রাসাদে আক্রমণ করেন, সুতরাং এটাতে উসমান বের দূর্বলতা দেখানো হচ্ছে এমনটা ভাবার সুযোগ নেই , ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলেও দেখতে পাবেন, অনেক সুলতান কে তার প্রাসাদে গুপ্তচর বাহিনী হত্যা করেছেন, সুতরাং এই ঘটনা দিয়ে উসমান বেকে ছোট দেখানো হয়েছে এমনটা আমরা মনে করিনা৷ তবে উসমান বের আরো সতর্ক থাকা দরকার ছিল৷

কুরুলুস উসমান ভলিউম ১৩৫ এর প্রথম ট্রেইলারে দেখা যায়, মঙ্গল বাহিনীর আগমন, তারা উসমান বে ও ইয়াকুব বের থেকে কর আদায়ের হুকুম দিচ্ছে, যেমনটা সুলতান মাসুদ মঙ্গল বাহিনী কে কর দিতো, যেহেতু ইয়াকুব বে এর আগে কখনো মঙ্গল বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেননি, এই জন্য দায়িত্ব এসে পড়বে উসমান বের উপর, উসমান বে তার পরিকল্পনার মাধ্যমে এই ভূমি হতে মঙ্গল বাহিনী কে বিতারিত করবেন,,তবে এখানে কিন্তু কোন মঙ্গল বাহিনীর প্রধান নেতা আসেনি,,সাধারণ একজন সেনা আসছে,,তবে তাকে বিদায় করা উসমান বের এতো সহজ কাজ হবে না

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button