উসমান

কুরুলুস উসমান ১৪৭ বাংলা রিভিউ

কুরুলুস উসমান ১৪৭ বাংলা রিভিউ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক শ্রোতা ভাই ও বোনেরা, আশা করছি গত পর্বে সকলের মনের আশা পূরন হয়েছে। ওসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা চুড়ান্ত স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা দেখে সকল দর্শকদের ই মনের গহীনে লুক্কায়িত কৌতুহল আরো বেড়েছে। সামনের পর্বগুলোতে ওসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিটা দিক কিভাবে সাজাবে ওসমান বে সেটাই এখন দেখার মূল বিষয়।

আজ আমরা আগামী পর্বে কি হতে চলেছে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবো। আগামী পর্বে ওসমান বের সবথেকে বড় চ্যালেন্জ হলো মোঙ্গল কমান্ডার কে দমন করা। রাজকুমারী মারিয়া কে অপহরনের কারনে ওসমান বের উপরে মোঙ্গল কমান্ডার ক্ষিপ্ত হয়। এতে করে দুজনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বারতে থাকে। অন্য দিকে স্বাধীন বেইলিক ঘোষনার কারনে ইয়াকুব বের সাথে ও দুরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। ওসমান বেকে স্বাগত জানাতে ইনেশিহারে প্রবেশ করে ইয়াকুব বে। যদিও এটা একটা ধান্দাবাজির অংশ।

উসমান বে নতুন বিজয় এবং নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। অন্যদিকে মোঙ্গল বাহিনী ও ক্রুসেডের একসাথে মিলিত হয়ে ওসমানকে শেষ করতে উঠে পড়ে লাগে। যদিও এর মধ্যে ভ্যাসিলাস কে হত্যা করা হয়েছে। আগামী পর্বে হলোফেরা কে অপহরন করবে মোঙ্গলরা। যাকে মারিয়ার মুক্তিপন হিসাবে ব্যবহার করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অন্য দিকে আলাউদ্দিন বে এবং গোনজা হাতুন কে নিয়ে সাদাত হাতুন ও বালা হাতুন এর মাঝে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। এভাবেই আগামী পর্ব শুরু হবে।

জনগন ওসমান বেকে সমর্থন করে৷ এই সকল কিছু দেখে ইয়াকুব বের মাথা লজ্জায় নত হয়ে যায়। জনগন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ওসমান বের জনসমর্থন বাড়তে থাকে। অন্যদিকে ইয়াকুব বে এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ওসমান বেকে সায়েস্তা করতে নানা রকম পদক্ষেপ নিতে শুরু করে টেকফুরকে সে এই ঘটনার কথা জানিয়ে দেয়। ওসমান বে ফিরে আসলে তাকে জানানো হয় প্রসাদের গুপ্তচরকে এখনো খুজে পাওয়া যায় নাই। ওসমান বে খুজতে বলে। কারন প্রাসাদের গুপ্তচর কে ধরতে না পারলে সকল পদক্ষেপের সংবাদ আগে পৌছে যাবে কাফেরদের হাতে৷।

এতে করে কোন বিজয় অর্জন করা যাবে না। কারাজালাসুন নতুন পরিকল্পনা করে। তাদের একজন গুপ্তচর সংবাদ দেয় যে ওসমান বে জিহাদের পথে যাত্রা করবে এবং ইনেশিহারে সম্পূর্ণ ফাকা থাকবে। এবং কারাজালাসুন সদর দপ্তরে হামলার পরিকল্পনা করে। তখন তারা তাদের দেয়া গুপ্তচরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করতে বেরিয়ে আসে। আলাউদ্দিন বে উভয় সংকটে পড়ে যায়। গোনজা হাতুন এর কাছে থেকে আলাউদ্দিন বে যখন শুনতে পায় যে সে আলাউদ্দিন বেকে পছন্দ করে না।

তখন গোনজা হাতুন এর কথা সে বিশ্বাস করে না। আলাউদ্দিন বে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে যে মুখের কথা থেকে চোখের ভাষা বেশি বিশ্বাস যোগ্য। এই খবর যখন ফাতেমা জানতে পারে সে তার মা বালা হাতুন কে জানিয়ে দেয়। এতে করে বালা হাতুন ও চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই সে গোনজার সাথে নিজে কথা বলতে সীমান্ত বাজারে আসে। এরপর গোনজার সাথে সে কথা বলে কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারে না। জনগন ওসমান বেকে সমর্থন করে৷ এই সকল কিছু দেখে ইয়াকুব বের মাথা লজ্জায় নত হয়ে যায়। জনগন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ওসমান বের জনসমর্থন বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে ইয়াকুব বে এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ওসমান বেকে সায়েস্তা করতে নানা রকম পদক্ষেপ নিতে শুরু করে অন্যদিকে ওরহান বে এবং মেহমেদ বের মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ চলমান রয়েছে। তারা উভয়ে হলোফেরা হাতুন কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। এবার সেই আগুনে ঘী ঢেলেছে মেহমেদ বের বাবা ইয়াকুব বে। সাদাত হাতুন ও ইয়াকুব বে হলোফিয়া হাতুনের খালার কাছে মেহমেদের জন্য প্রস্তাব নিয়ে যায়। হলোফেরার খালা এটা বিবেচনা করবেন বলে জানিয়ে দেয়।

এতে করে উভয়ের মাঝে একটা দুরত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই খবর ফাতেমা গিয়ে মালহুন হাতুন কে জানায়। তখন ওরহান বে ওই ঘরে প্রবেশ করে। এই খবর শুনে সে নিজেকে নিয়ত্রনে রাখতে পারে নাই। হঠাৎ করে সেখানে ওসমান বে প্রবেশ করায়। তখন ওসমান বের সাথেও সে বেয়াদবি মূলক আচারন করে বসে। এরপর ওসমান বে বলে যদি তাদের কথা চুড়ান্ত হয় তাহলে হলোফেরা কে অপহরন করে নিয়ে আসা হবে। এই বিষয়ে কোন সমস্যা না করতে ওরহান কে আদেশ করে।

দেখা যাক আগামী পর্বে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে৷ আশাকরি আগামীকালের পর্বটি থাকবে উত্তেজনার আগুনে ভরা। সবার আগে বাংলা সাবটাইটেল দেখতে চোখ রাখুন অনুবাদ মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটে। সবাই কে ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button