মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি ১৭ বাংলা
মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি ১৭ বাংলা
১. মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি: আমরা সকলেই জানি মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি ছিলে একজন মুসলিম কবি,দার্শনিক, আধ্যাতিক নেতা,ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক ও সুফী। তার জ্ঞান বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।তার আধ্যাতিক জ্ঞান ইসলামী ও পাশ্চাত্য উভয় সংস্কৃতির উপর গভীর ভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারণ এটি আজও ততটা প্রাসঙ্গিক যতটা শতাব্দী আগে ছিল।
আমরা সিজন-২ এর ১ম এপিসোড শুরুতে দেখতে পাই, জালালউদ্দিন রুমির শৈশবের একটি মুহূর্ত তোলে ধরা হয়েছে।রুমিকে তার বাবা মাদ্রাসায় রেখে যাচ্ছে। কিন্তু রুমি মাদ্রাসায় তার বন্ধুদের ছাড়া একা থাকতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কারণ এই মাদ্রাসায় তার বন্ধু নাই। কিন্তু তার বাবা এই মাদ্রাসায় থেকে অধ্যবসায় চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।এতে সে নিজে উপাকার হবে এবং সে এমন এক জন সেরা বন্ধু পাবে যা তার বন্ধুত্বের সম্পর্কের নাম বদলিয়ে দিবে।
তারপর আমরা দেখতে পাই যে, মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি তার মাদ্রাসার দরগাহয় মোনাজাত করছেন।
” হে এলাহি, তোমার অনুগ্রহ ও হেদায়েত দান করো। আমাদের হৃদয়কে বিভ্রান্তির দিকে ঝঁকাবেন না। আমাদের থেকে ঝামেলা দূর করে দাও। ইয়া রাব্বি আমাদের বিপদ থেকে রক্ষা করো। আমাদের করুনা থেকে বন্ঞ্চিত করো না।” <আমিন> এইভাবে তিনি পুরো জাতির জন্য দোয়া করেন।
২. ইসফিহানের নতুন ষড়যন্ত ও শায়েখ এদেবালি এর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব: ইসফিহান ছদ্মবেশে একটি ভেজসের দোকানে যায় এবং বিষাক্ত বিষ তৈরি করে নিয়ে আসে। আর তিনি ইদ্রিস এফেন্দিকে নির্দেশ দেই যাতে মাওলানা জালালউদ্দিন রুমির বিশ্বাস অর্জন করে তার কাছাকাছি থাকতে পারে। কারণে সুযোগে মাওলানা জালালউদ্দিন রুমিকে হত্যা করা হবে। ইদ্রিস এফেন্দিও রুমি অর্থাৎ হুদাভেন্দিগারের আস্থা অর্জন করেন।
এসব পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো সেলজুকরা যদি মঙ্গলদের সাথে পরাজিত হয় তাহলে ইসফিহান সু্তলান হতে কোন বাধা থাকবে না। আর তার অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করতে তিনি শায়েখ এদেবালি’র মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। যদিও তার একটি কন্যা আছে এবং তার স্ত্রী অনেক বছর আগে মারা যান। কিন্তু এই প্রস্তাব শুনে শায়েখ এদেবালি আবাক হন। কারণ মঙ্গলদের সাথে সেলজুকরা যুদ্ধ করছে, কিন্তু তিনি কেনো এই মুহূর্তে বিয়ে করার জন্য আগ্রহ দেখালো। ইসফিহান এই প্রশ্নের উত্তরটি কৌশলে দেয়।
৩. সেলজুক ও মঙ্গলদের যুদ্ধে কমান্ডার ওমর গুরত্বর আহত: আমরা দেখতে পাই যে, সেলজুকরা মঙ্গলদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। সুলতান গিয়াসেদ্দিন ও আর্তুগ্রুল গাজী ঐ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। আর্তুগ্রুল গাজী এবং কমান্ডার উমর কঠিন লাড়াই করছিল। চারদিক থেকে অন্ধকার নেমে আসার পরও তারা থেমে যায়নি। পুরো দমে তারা লড়াই চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কমান্ডার উমরকে পিছন থেকে ছুড়া দিয়ে আঘাত করে তাকে আহত করেন।
৪. সূর্যগ্রহণ: শিরাজির গবেষনায় জানতে পারে যে, আগামীকাল দুপুরে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। সকল ছায়া নিমিশে মিশে যাবে। আর এই বিষয়টি নিয়ে কোনিয়াবাসীকে অবগত করতে হুদাভেন্দিগার ও শিরাজি বক্তব্য দেন। হুদাভেন্দিগার বলেন, “আকাশ জমিনের ঘটে যাওয়া প্রত্যাকটা ঘটনা আল্লার নির্দেশে হয়। ” আর সিরাজি বলেন আর আকাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা জমিনেও প্রভাব ফেলে।
তিনি ধারণা করেন যে, জমিনে কোন কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু কোনিয়াবাসী প্রথম এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। তাই কেউ জানে সূর্যগ্রহণের ফলে কি হতে পারে। তারপরও মাওলানা জালালউদ্দিন রুমি ও শিরাজ সবাইকে আসস্থ করেন এটা নিয়ে যাতে কেউ চিন্তা না করে। পরের দিন দুপুরে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। কোনিয়াবাসী সবাই বের হয়ে পরে এবং সবাই এর সাক্ষী হয়। সূর্যগ্রহণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে সকল ছায়া নিমিশে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সূর্যের আলো চলে যায় এবং পরো দুনিয়া এর সাক্ষী হয়। আরো ইতিহাস পড়ুন