সালাউদ্দিন আইয়ূবী

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ৩ বাংলা সাবটাইটেল

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী এপিসোড ৩ বাংলা সাবটাইটেল

Selahaddin Eyyubi Episode 3 In BANGLA LANGUAGE

মেলিক সালাহউদ্দীনের ব্যর্থতা এবং শাহানশাহে এর মৃত্যু: আস্কালান রক্ষা করার জন্য সালাহউদ্দিন আইয়ুবী তার বাবা নুরুদ্দিন জেঙ্গীর কথা অমান্য করে আস্কালানে চলে আসেন।আস্কালানকে রক্ষা করার জন্য আস্কালানের সৈন্য ও সালাউদ্দিন আইয়ুবীর সহযোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়।সালাউদ্দিন আইয়ুবী তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে নদীর কাছে যান।তিনি শাহেনশাহ ও তুরান শাহকে নদীর মধ্যে যেতে বলেন এবং তিনি আদেশ দেন যাই ঘটুক না কেন তারা যেন তাদের অবস্থান পরিবর্তন না করে।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী তার সহ যোদ্ধাদের নিয়ে নদীর কাছে যুদ্ধ করেন অপরদিকে তুরান শাহ ও শাহেনশাহ টেম্পেলার কমান্ডারের সাথে যুদ্ধ করেন। প্রথমে টেম্পোররা যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে পিছপা হন এবং নিজেদের সুবিধা মতো স্থানে অবস্থান নেন। সেই সুযোগে তুরান শাহ সালাহউদ্দিন আয়ুবীর আদেশ অমান্য করে টেমপ্লেটদের পিছু নেন।তা দেখে সালাউদ্দিন আইয়ুবী নদীর মধ্য দিয়ে তার ভাইদের কাছে যান এবং তিনি শাহেনশাহ এর কাছে পৌঁছান।

পরবর্তীতে টেম্পেলের কমান্ডার তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সালাউদ্দিন আইয়ুবী ও তার সহযোদ্ধাদের দিকে তীর ও গ্রিক আগুন নিক্ষেপ করেন।একটি তীর এসে শাহেনশাহ এর বুকে আঘাত করে। আর গ্রীক আগুনে তাদের জাহাজ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।তারা ভাবে সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর মৃর্তু হয়েছে।সালাউদ্দিন আইয়ুবী ও তার সহযোদ্ধারা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নদীর পাড়ে আশ্রয় নেন।

সালাউদ্দিন আইয়ুবী ব্যর্থ হওয়ায় টেম্পলররা আস্কালান দখল করে সুরাইয়া হাতুনের ভাইকে বন্দী করে। পরবর্তীতে আস্কালান বাসী অন্য জায়গায় তাবু স্থাপন করেন। শাহেনশাহ গুরুতর আহত হওয়ায় সালাউদ্দিন আইয়ুবী তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য তাবুতে চলে আসেন। কিন্তু কোন চিকিৎসা শাহেনশাকে বাঁচাতে পারেনি। শাহেনশাহ মৃত্যুবরণ করেন।

রাজা বাল্ডভিন ও নুরুদ্দীন জেঙ্গীর সাক্ষাৎ: নুরুদ্দিন জেঙ্গি শিকারের জন্য জঙ্গলে গেছেন ঠিক সেই মুহূর্তে রাজা বাল্ডভিন এর সাথে দেখা।তখন রাজা বাল্ডভিন নুরুদ্দিন জেঙ্গিকে তার ছেলের মৃত্যুর কথা বলেন।নুরুদ্দিন জেঙ্গী রেগে গিয়ে রাজা বাল্ডভিনকে আক্রমণ করেন।তাৎক্ষণিকভাবে এক সৈন্য এসে নুরুদ্দিন জেঙ্গিকে খবর দেন সালাউদ্দিন আয়ুবী বেঁচে আছেন।

তখন রাজা বাল্ডভিন বলেন তিনি বেঁচে থাকলেও আস্কালান নিয়ে তাকে যে কষ্ট দিয়েছি তা তার মৃত্যুর সমান।তখন নুরুদ্দিন জেঙ্গি রাজাকে চুক্তির কথা মনে করিয়ে দেন।তখন রাজা বলেন চুক্তি ভেঙে গেছে এবং বলেন আপনার ছেলে যা করেছে তার দায়বদ্ধতা আপনারও রয়েছে এজন্য হাজীদের পথে রাজা বাল্ডভিন সৈন্যদের দাঁড়া করে রেখেছেন। এখন নুরুদ্দিন জেঙ্গি বলেন হাজীদের এক ফোঁটা রক্ত ঝরলে রাজা বাল্ডবিন কে ধ্বংস করে ফেলবেন।

রাজপ্রসাদে গ্যাব্রিয়েল এর আগামন: সুরাইয়া হাতুন নুরুদ্দিন জেঙ্গরি সাথে দেখা করতে এবং সহায়তা চাইতে রাজপ্রসাদে আসেন। ঠিক সেই মুহূর্তে রাজপ্রসাদে গ্যাব্রিয়েলও আসেন। উজির তাকে নুরুদ্দিন জেঙ্গির সামনে নিয়ে যান। নুরুদ্দিন জেঙ্গী তাকে দেখে রাগন্নিত হন এবং জিজ্ঞেস করেন সাহস হলো কিভাবে রাজপ্রাসাদে ঢুকার।তখন গ্যাব্রিয়েল নুরুদ্দিন জেঙ্গিকে তার বাবার কথা মনে করিয়ে দেন যে তার বাবার হারানো আস্কালান সে উদ্ধার করেছে। গ্যাব্রিয়েল নুরুদ্দিন জেঙ্গিকে একটি প্রস্তাব দেন।

প্রস্তাবটি হল সে আস্কালান থাকা সুরাইয়ার ভাইসহ বন্দীদের মুক্তি দিবেন এবং হাজীদের পথ খালি করে দিবেন বিনিময়ে সে উরফা চায়।সুলতান নুরুদ্দিন তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন আমাদের রক্ত দিয়ে মাটিকে মাতৃভূমি বানাই। শরীলে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত কাউকে আমরা ১ ইঞ্চি জমি দেইনা। তোমার ক্ষমতা নেই আমার কাছ থেকে উরফা কেড়ে নেয়ার।সময় হলে তোমাকে তোমার রক্তে তুমি ডুবে মারবো। বিপরীতে গাবরিয়েল বলেন অনেক রক্ত ঝরবে। আমার প্রস্তাব মেনে না নিলে একে একে বন্ধীদের লাশ পাঠাবে এবং সুরাইয়া হাতুন এর ভাই এর লাশ ও। Read more

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button