উসমান

কুরুলুস উসমান ১৩৬

Review of Kurulus Osman 136 in Bangla

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কুরুলুস প্রেমী বন্ধুরা, আশাকরি সকলের কাছে গতপর্বটি অসাধারণ লেগেছে। আজকে কথা হবে কুরুলুস ওসমান গত পর্বের বিশেষ কিছু বিষয় এবং আগামী পর্বে কি ঘটতে যাচ্ছে সেই বিষয়ে।

1/ মোঙ্গল বাহিনীর আগমন- মোঙ্গল কমান্ডার ইয়াকুব বের বসতিতে আসে৷ সেখানে ওসমান বে সহ তার পরিবার উপস্থিত ছিল। মঙ্গল কমান্ডার ইয়াকুব বেকে বলে সুলতান হয়েছো এখন থেকে কর তুমি দিবে। তারপর ওসমান বে কর দিতে অস্বীকার করলে ইয়াকুব বেকে ওসমান বের বেয়াদবী জন্য আরো ২০০০০মুদ্রা বেশি দিতে বলে।

ওসমান বে তার গলায় ছুরি ধরলে ইয়াকুব বে ওসমান বেকে কমান্ডার কে ছেড়ে দিতে বলে৷ ওসমান বে তাকে ছেড়ে দেয় এবং নিজে সকল কর পরিশোধ করবে বলে ওই মোঙ্গল কমান্ডার কে জানিয়ে দেওয়া হয়। মোঙ্গল কমান্ডার ওসমান বের আশ্বাস পেয়ে চলে যায়।

2/ ওসমান বের স্বর্ন চুরি- ওসমান বে কর দেওয়ার যে ঘোষনা দিয়েছিল সেটার পিছনের মূল ভিত্তি ছিল গুপ্তধন থেকে পাওয়া স্বর্ণমুদ্রা।উরহান বে ও হোলোফেরা গুপ্তধন নিয়ে এক সাথে ইয়েনিশেহির প্রাসাদে আসেন। মালহুন হাতুন যখন জানতে পারেন, হোলোফেরা উরহান বে-কে আহত অবস্থা থেকে সুস্থ করতে সহযোগীতা করেছে।তখন মালহুন হাতুন হোলোফেরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উরহান বে যখন আহত হয়েছিলেন তখন আমরা দেখেছি, হোলোফেরা উরহান বের প্রতি কতটা যত্নবান এবং প্রমাণিত হয়েছে যে, হোলোফেরাও উরহান বে-কে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু হোলোফেরার প্রতি মালহুন হাতুন অসন্তুষ্ট থাকাই মালহুন হাতুন উরহান বেকে নির্দেশ দেন হোলোফেরাকে তার জন্মভুমিতে ফিরে যাওয়ার ব্যবাস্থা নিতে।

হোলোফেরার প্রতি প্রেমেরটান থাকা সত্যেও উরহান বে তার মায়ের আদেশ মানতে বাধ্য হন। আর হোলোফেরাও তার ভালোবাসাকে রেখে জন্মভুমিতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। যদি হোলোফেরা থাকতে চাই, তাহলে উরহান বে তার মা মালহুন হাতুনকে বুঝাবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়েও হোলোফেরাকে রাজি করাতে পারেনি।

ব্যবসায়ী আগার ছদ্মবেশে রোমের কমান্ডার ওসমান বের ভান্ডার থেকে স্বর্ন চুরির পরিকল্পনা করে। টেকফুর ভ্যালেন্স এই স্বর্ন চুরি করে বাইন্দার বেকে ফাঁসিয়ে দেয়৷ এতে করে ওসমান বের পাশের আপন মানুষ গুলো সব আস্তে আস্তে শেষ করাই তার পরিকল্পনা। বোরান আল্প কে জখম করার পরে এখন সে বাইন্দার বেকে ফাসিয়ে দেয়।

ওরহান বে এই স্বর্ণমুদ্রা বাইন্দার বের জঙ্গলের বাড়ি থেকে পায়৷। কনুর আল্প একটা স্বর্নের ব্যাগ বাইন্দার বের ইনেশিহারের প্রাসাদ থেকে পায়। এই সকল প্রমান যখন ওসমান বের সামনে হাজির করা হয় তখন ওসমান বে আদালত গঠন করে৷

ওসমান বের আদালতে ইয়াকুব বেও উপস্থিত ছিল। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান বাইন্দার বের বিরুদ্ধে গেলে তাকে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা হয়৷ আদেশ মোতাবেক রায় কার্যকর করার সকল আয়োজন সম্পূর্ণ হয়। তখন ওসমান বের ছোট ছেলে আলাউদ্দীন বে একটা প্রমান পায় যে এই চুরি এবং বোরান আল্প কে টেকফুরের সৈন্যরা করেছে।

বাইন্দার বেকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ ওসমান বে বাইন্দার বেকে আগে থেকেই বিশ্বাস করেছিল। তাই ওসমান নিজে আলাউদ্দিন কে এই রহস্য খুজতে আদেশ দেয়। প্রকৃত অর্থেই এরা ছিল টেকফুর ভ্যালেন্সের সৈন্য। তাদের সকলের গলায় বিশেষ ধরনের একটা ট্যাটু আকা ছিল। আর এই প্রমানের ভিত্তিতে বাইন্দার বেকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ ওসমান বে তাকে প্রসাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচরকে খুজতে বলে।

৩/ কর পরিশোধ করা- ওসমান বে যখন চুরি হওয়া মুদ্রা ফিরে পান তারপর সে সম্পূর্ণ জাতির কর বাবদ অর্থ মোঙ্গল কমান্ডার কে দেওয়ার জন্য রওনা হন। ওসমান বে যখন মোঙ্গল কমান্ডার এর কাছে যান তখন সে অবাক হন। আসলে এই কমান্ডার নিজে সেই দিন বার্তাবাহক সেজে ইয়াকুব বের বসতিতে গেছিল। ওসমান বেকে কমান্ডার স্বর্নমুদ্রা দেখে প্রশ্ন করে এই মুদ্রা কিভাবে পেল।

কমান্ডার রাগ হয়ে আরো জানতে চায় যে তার সোনা চুরি করে তাকেই দেওয়া হচ্ছে। জবাবে ওসমান বে বলেন এটা তার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মুদ্রা৷। ওসমান বে চলে আসতে চাইলে কমান্ডার তাকে আসতে দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।।তখন ওসমান বে বলে আমার ভূখণ্ডে এসে আমার উপর আইন প্রয়োগ করবে না৷ তাহলে ঘাড় থেকে মাথা আলদা হয়ে যাবে।

একথা শুনে ওসমান বের গায়ে হাত দিতে যায় মোঙ্গল কমান্ডার। তখন ওসমান বের ওই মোঙ্গল কমান্ডারের মাথা টেবিলের উপর জোরে চাপ দিয়ে ধরে।ছদ্মবেশী আয়হান বে ইয়েনিশেহিরে আসার পর, উসমান বে আয়হান বেকে সাথে নিয়ে গার্মিয়ানদের সীমন্তবর্তী নতুন বাজারে যান। তারপর তিনি কায়ী বসতির দোকান পরিদর্শন করেন। আর আয়হান বে নতুন বাজার দেখে উসামন বে-কে প্রস্তাব দেন যে, সীমান্তবর্তী নতুন বাজারের এক পাশের সবগুলো দোকান কেনার জন্য।

৪/ বালা হাতুনের সুস্থতা- বালা হাতুন সোগুত থেকে ইনেশিহারে ফিরে আসেন। ওসমান বের মেয়ে ফাতেমা সোগুতে যায়। বালা হাতুনের কাছে সে ভাইদের বিয়ের কথা বলে। আলাউদ্দিন বে এবং গোনজা হাতুন এর চলমান প্রেম সম্পর্কে বালা হাতুন কে জানায়। বালা হাতুন ফাতেমার কথা শুনে মনে মনে ভিষন চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কারন গোনজা কে বালা হাতুন এর পছন্দ না। অপর দিকে ওরহান বেও বিরহে রয়েছে। more

হোলফিরা হাতুন চলে যাওয়ার পর থেকে ওরহান বে মনে কষ্ট চেপে রেখেছে। এমতাবস্থায় ইনেশিহারে ওসমান বের কামরায় বালা হাতুন ও মালহুন হাতুন দু জনে পরামর্শ করে তাদের ছেলেদের বিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর খাবার খাওয়ার সময়ে ওসমান বের সামনে বিবাহের কথা উঠালে ফাতেমা বলে কেন মেয়ে দেখতে হবে। মেয়ে তো রেডি আছে। একথা বলার পরে ওরহান বে ফাতেমা হাতুন এর মুখে খাবার দিয়ে দেয় যাতে আর কোন কথা না বলতে পারে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button