উসমান

রিভিউ কুরুলুস উসমান এপিসোড ১৩৩

রিভিউ কুরুলুস উসমান এপিসোড ১৩৩

কুরুলুস ওসমান ১৩২ পর্বের শুরুতে ইয়াকুব বে ওসমান বের কাছে তার আমির হওয়ার পক্ষে আনুগত্য চায়। এসম ওসমান বে তাকে জবাব দেন যে তাকে এই বিষয়ে ভাবতে হবে৷ এবং সে এই সিদ্ধান্ত পরে জানাবে। এতে ইয়াকুব বে রাগান্বিত হন। তবে ইয়াকুব বে ওসমান বেকে কিছু না বলে ছেড়ে দেন।

কারন সে চায় আগে ওসমান বের আনুগত্য পাবে তারপর তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিবে৷ এই জন্য সে ওসমান বের দাওয়াত কবুল করে৷।। ইয়াকুব বের ছেলে এই দাওয়াতে যেতে তার বাবাকে নিষেধ করলেও বাবা সেই অনুরোধ রক্ষা করে না। ইয়াকুব বে পরের দিন ওসমান বের ইনেশিহারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। ইয়াকুব বে তার ছেলে মেহমেদ বেকে একটি বিশাল বাহিনী নিয়ে ইনেশিহারেের পাশে অবস্থান নিতে বলে। যাতে কোন সমস্যা হলে ইয়াকুব বের নির্দেশে মেহমেদ ইনেশিহারে আক্রমন করতে পারে৷

ইয়াকুব বের কথা মতো তার ছেলে মেহমেদ বে একটি বিশাল বাহিনী নিয়ে ইনেশিহারের পাশে অবস্থান করতে থাকে। কিন্তু তার বাবার কাছ থেকে কোন সংকেত না পেয়ে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে।
গন্ঞ্জা হাতুন ও আলাউদ্দিন বে কোনিয়ার প্রাসাদে যায় সুলতানের সাথে দেখা করার জন্য।

প্রথমে গন্ঞ্জা হাতুন উজিরের সহযোগীতায় সুলতানে কক্ষে প্রবেশ করে ইয়াকুপ বে সুলতান হওয়ার নির্দেশনা পত্রে সুলতানের সিল দিয়ে দেয়। আলাউদ্দিন বে ও গোপনে সুলতানের কক্ষে প্রবেশ করে এবং সুলতানের সাথে কথা বলে। সুলতান আলাউদ্দিন বেকে সেলজুক রাজ্যের কোষাগারের মানচিত্র দেয় যাতে উসমান বে তা আমানত রাখে।
পরের দিন সকালে ঘোষনা আসে সুলতান মৃত্যুবরণ করেছেন

আলাউদ্দিন বে সুলতান মাসুদ এর কাছে থেকে মানচিত্র নিয়ে রওনা হন ইনেশিহারের উদ্দেশ্য। এই খবর যখন ইয়াকুব বের কন্যা শুনতে পায় তখন সে আলাউদ্দিন বের পিছনে অনুসরন করতে থাকে। আলাউদ্দিন বে যখন একটি সরাইখানায় বিশ্রাম নিতে ঢুকে তখন সেখান ইয়াকুব বের কন্যাও আসে।

ইয়াকুব বের কন্যা একটি ফাঁদ তৈরি করে৷ আলাউদ্দিন বেকে দেয়া খাবারে চেতনা নাশক মিশিয়ে তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়৷ তারপর একজন সৈন্য আলাউদ্দিন বের কক্ষে প্রবেশ করে আলাউদ্দিন বের পাশে থেকে একটি চিঠির খামসহ চিঠি নিয়ে যায়। তখন আলাউদ্দিন বের তার পিছু নিলে সেই সৈন্য পালিয়ে যায় ।

আলাউদ্দিন বে তার কাছে লুকায়িত মানচিত্র নিজের বুকের ভিতরে রেখে ছিল। আর ওই চিঠির খামে ছিল নকল একটি চিঠি। যে মূলত আলাউদ্দিন বে মানুষকে বোকা বানানো এবং আসল মানচিত্র হেফাজতের জন্য ই করেছে। আলাউদ্দিন বে, যখন বের হয়ে আসে সুলতানের প্রাসাদ থেকেছি তখন ইয়াকুবের মেয়ে আলাউদ্দিন বের পিছু নিয়েছিল। সেই জন্য ই নকল চিঠির পরিকল্পনাটি করেন।

নকল চিঠিটি দেখে ইয়াকুব বের মেয়ে আবারো আলাউদ্দিন বেঁকে হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নেন। সেই জন্য সে আলাউদ্দিন বের সাথে একটা ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার অভিনয় করে মূলত তার উদ্দেশ্য হচ্ছে আলাউদ্দিন বের কাছ থেকে মানচিত্র হাতিয়ে নেওয়া। আলাউদ্দিন বে এই পরিকল্পনা বুঝতে পেরে যান এবং সে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে

কিন্তু সে তার মানচিত্র টি নিজের কাছেই রেখে দেয় অতপর সোগুতে তার মা বালা হাতনের কাছে ফিরে আসে। যখন আলাউদ্দিন বে, তার মা বাল হাতুন এর কাছে দেখা করতে যায় তখন বালা হাতুন নামাজ পড়ছিলেন। তার পুত্রকে দেখে সে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে।

তবে সে তার পুত্রকে জড়িয়ে ধরতে নিষেধ করে কিন্তু আলাউদ্দিন বে তার মায়ের হাতে চুম্বন করে যেটা সম্মানসূচক আলিঙ্গন। আলাউদ্দিন বের কাছ থেকে বালা হাতুন কোনিয়ার সুলতানের প্রাসাদের খবর জানতে পারেন। বালা হাতুন আলাউদ্দিন বেঁকে ইয়াকুববের আনুগত্য স্বীকার করার জন্য ওসমান বেকে চাপ দিচ্ছেন এই খবর টি জানান।


ওরহান বেয়ে তার বাবার প্রদত্ত দায়িত্ব পালন না করে ইনেশিহারে ফিরে আসে। ওরহান বে হলোফিয়াকে সাথে নিয়ে দ্রুত ইনেশিহারের প্রাসাদে ফিরে আসে। এতে ওসমান বে তার উপর রাগান্বিত হন।

চেরকুতাই বেকে স্বাধীন অবস্থায় ছেড়ে দেয় কিন্তু সে নিজে এসে তার পরিবার নিয়ে ইনেশিহার থেকে বের হয়ে চলে যায়। ওসমান বেকে সে দোষ চাপিয়ে বলে যে কেন তাকে খোজা হয় নাই? কেন তার জন্য লোক পাঠালো না? এর জবাবে ওসমান বে তাকে যতই সান্তনা দিতে থাকে সে ততই তার রাগ নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওসমান বে তাকে বের হয়ে চলে যেতে বলে। এই দৃশ্যটি ছিল খুবই বেদনাদায়ক।

ওসমান বে তাকে একটি বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। তবে সে তার অভিমানে এসব গ্রহন না করে চলে যায়। এদিকে টেকফুর ভ্যাসেলস রামোস কে ব্যবহার করে একটি ফাদ এটে ছিল ওসমান বের বিরুদ্ধে। ওসমান বের আদেশে রামোস কে ধরতে কনুর আল্প কে পাঠিয়ে দেয়া হয়৷। ওসমান বের সামনে কনুর আল্প রামোস কে হাজির করালে তখন সে তার থেকে তথ্য নেয়ার জন্য দরবার থেকে বের হয়ে যায়।

এদিকে ওসমান বের দাওয়াত গ্রহণ করা সকল অতিথি তখন ওসমান বের দরবারে বসা ছিল। ওসমান বের ইনেশিহারে যখন বে গন আসেন তখন তাদের সাথে তাদের পত্নীগন ও আসেন। এদের মাঝে ইয়াকুব বের স্তী ও আসে। সে এসে মালহুন হাতুনের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে৷ সে হোলোফিয়া কে দেখে প্রশ্ন করে এটা কি আপনার ছেলের বৌ? তখন মালহুন হাতুন বলেন না সে আমাদের অতিথি।

এরপর হলোফিয়া কে প্রশ্ন করে তুমি কি কারনে এখানে এসেছো? সে বলে আমি এখানে ব্যবসায়ীক কাজে এসেছি। এই উত্তরে কিছুটা আশ্বস্ত হন। এভাবে কথা বলার পরে ইয়াকুব বের স্তী মালহুন হাতুন এর আসনে বসে পড়ে৷। যদিও তারপাশে আগে থেকেই তার জন্য আসন প্রস্তুত করা ছিল

এমত অবস্থায় ওসমান বের দরবার থেকে বের হয়ে যাওয়াকে সকলে সন্দেহের চোখে দেখে৷। তারপর ওসমান বে ওই খৃষ্টান গুপ্তচর কে কথা বলানোর জন্য প্রহার শুরু করে। তারপর সে বলে দেয় এই ফাদের বিষয় ইয়াকুব বে তাকে বলেছিল। এতে ওসমান বের সকল রাগ ইয়াকুব বের উপরে চলে যায়। সে কোন কথা না বলে তরবারী খোলা অবস্থায় আবারো দরবারে প্রবেশ করে৷। তখন ইয়াকুব বে তাকে প্রশ্ন করে আপনি কি আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন নাকি আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। জবাবে ওসমান বে বলে হাকিকত সবার সামনে খুব শীঘ্রই উন্মোচিত হবে। more

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button