উদঘাটনের পথ এপিসোড

রিভিউ উদঘাটনের পথ

রিভিউ উদঘাটনের পথ

“উদঘাটনের পথ” হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মের আগে মক্কা এবং পুরো বিশ্বের অন্ধকারাচ্ছন্ন আয়ামেজাহেলিয়াতে যুগ ও মহানবী সাঃ এর জন্মপর পর, নবুয়ত পাওয়ার পর সেই সোনালী যুগের সত্য ঘঠনা গুলো এই ডকুমেন্টারি সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে। Sami Saydan ও Hakan C. Yazici এর পরিচালায় সত্য ঘঠনার অবলম্বনে ডকুমেন্টারি সিরিজটি নির্মিত হয়েছে।

যে যুগে ইতিহাসে ‘প্রাক-ইসলামিক’ যুগ হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল,বিশেষ করে মক্কায়। সেই সময় কালে নারীদের কোন মূল্য ছিল না,নারীদের কোন সম্মান দিত না এবং কন্যা শিশু জন্ম নিলে জীবন্ত কবর দিত। মানুষ ফেতনা ফাসাদ তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই জানত না।

মুর্তি পূজা করার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কুফরি কাজে লিপ্ত থাকতো। ঐ সময় বাজারে ক্রীতদাস প্রথা বেশ জনপ্রিয় ছিল। মদ ও জোয়া ছিল ঐসময় প্রতিদিনের কর্মকান্ড। অর্থের পরিবর্তে নিজের স্ত্রীকে জোয়ায় ধরতো। এমন একটি যুগ ছিল যেখানে শক্তিশালী লোকেরা একত্রিত ছিল এবং দূর্বলরা ছিল একে বারে একা। তখন কাবা ঘরের ভিতরে ও বাইরে ৩৬০ টি মূর্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল।

তারা আললাহর একাত্মবাদ এবং আল্লাহর ইবাদত করা ভুলে গিয়ে ছিল। আর এই পাপাচার, নির্মমতা এবং কুফরি শুরু হয়েছিল নবী ও রসূলদের আগমনের ধারাবাহিতা থেমে যাওয়ার পর। এমন এক সময় যখন মানুষ অপেক্ষা করছিল, তারা যা ছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার। মক্কা ও আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবা মানবতার সাথে যে যুদ্ধ করছিল তার পরে তাদের উপর যে নিরবতা নেমে এসেছিল, আর এই নিরবতা কিছু আসার আগমনের একটি নির্দেশনা দিয়েছিল।

নিস্তব্ধ মক্কার ও পুরো বিশ্বরে আশার আলো জ্বলেছিল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবি মসের ১২ রবিউল আউয়াল মাসে। একটি তারা “নবী সাঃ এর জন্মের ঘোষনা আসে। আত্মা যে আকাঙ্খায় পোড়াচ্ছিল তা এসেছিল।মহানবী সাঃ এর আগমনে বিশ্বকে সম্মানিত করেছে। কাবা ও মক্কার সবাই আনন্দে মেতে উঠেছিল। আশার মেঘ মক্কা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিল।

তার বাবার নাম ছিল আব্দুলাহ আর মায়ের নাম ছিল আমিনা। মহানবী সাঃ এর জন্মের আগেই তার বাবা মারা যাওয়াই তার ভরণপোষনের দায়িত্বে নিয়ে ছিলেন।

মহানবী সাঃ এর মাও তার ছয় বছর বয়সে মারা যায়। তারপর তার দাদাকেও হারান। যাকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালো বাসতেন।একেবারে এতিম হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর তার চাচা আবুতালিবের সাথে একা থাকতেন।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিহি যেখানেই গেছেন তার সাথে প্রাচুর্য, জীবিকা এবং আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন।

পৃথিবীর ভার এবং তার ভার নিজপর হৃদয়ে বহন করছেন। তিনি এখন সবার ঠোঁটে ও হৃদয়ে। সবার মুখে শুধু একটা কথা ছিল,”এমন শিশু আগে কখনো দেখেনি। আর তিনি যে অবস্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তা দিন দিন বেড়েই চলছিল। একরে পর এক ভবিষ্যদ্বাণীর লক্ষন দেখা দিতে থাকে। কিছু লোক ছিল তারা জানত যে তিনি একজন নবী হবেন। তার শৈশব ও যৌবনের বছর গুলো এই ভাবেই কেটে গিয়েছিল।

নবী মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হয়ে গেলো।মক্কার রাস্তায়, গ্রামে এবখ বাণিজ্য কাফেলায়। তিনি মক্কার সবচেয়ে সহপরিচিত ও সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠেন। বণিকরা তাদের ব্যবসার ভার তার হাতে তুলে দিত। লোকেরা তাদের আমানত রাখতো ও গোপনীয়তার কথাও বলতো।

more

Watch more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button