আল্প আর্সালান

আল্প আর্সালান এপিসোড ৬১ বাংলা

আল্প আর্সালান এপিসোড ৬১ বাংলা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা।আশাকরি আপনারা সবাই খুবই আনন্দিত যে, দীর্ঘ অপেক্ষার পর আল্প আর্সলান ভলিউম ৬০ রিলিজ হয়েছে। আজ আমরা ভলিউম ৬০ এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

১. সুলতান আল্প আর্সলান আহলাত দূর্গ জয় ও আনাতোলিয়াই যুদ্ধ বিরতি দিয়ে মিশরের দিকে অগ্রসরঃ সুলতান আল্প আর্সলান ভাসপুরাকান, সুরমারী এবং এ্যানি জয় করার পর, তার বিজয়ের ধারাবিকতা থামিয়ে রাখেননি। এ্যানির পর তিনি আনাতোলিয়ার দিকে অগ্রসর হন।আনাতোলিয়াকে সেলজুক সম্রাজ্যের মুসলিমদের ভুমিতে পরিণীত করতে একে একে দূর্গ জয় করতে শুরু করেন। ভলিউম ৬০ এর শুরুতে আমরা দেখতে পাই, সুলতান আল্প আর্সলান আহলাত দূর্গ জয় করেছেন।

ঠিক তখনি মিশরের উজিরের কাছ থেকে চিঠি আসেন, সুলতান আল্প আর্সলান যাতে মিশরের দিকে অগ্রসর হন। কারণ মুসলিম উম্মার মধ্যে অভ্যন্তরীণ দন্ধ চলছে। মোসলমানদের মধ্যে ঐক্য নষ্ট হয়েগেছে। পুরো মুসলিম জাতিকে এক পতাকার তলে আনতে ও ঐক্যবদ্ধ হতে, সুলতান আল্প আর্সলান আনাতোলিয়াতে যুদ্ধ বিরতি দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন এবং মিশরের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন।

২. বিদ্রোহী রোমান দিয়োজানের কারামুক্তি, রানী এভদোকেয়াকে বিয়ে ও কনাষ্টোন্টিপোলের রাজা হিসাবে সিংহাসন গ্রহণঃ কায়জার দুকাস এর নির্দেশের বাইরে গিয়ে সেলজুকদের সাথে যুদ্ধে ঝরানো এবং এ্যানি দূর্গ হারানোর ফলে রোমান দিয়োজানকে বিদ্রোহী ঘোষনা করা হয় এবং আজীবন কারা দন্ড দেওয়া হয়েছিল। যখন কায়জার দুকাস মৃত্যুবরণ করেন, তখন রাণী এভদোকেয়া তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত রাখতে বিদ্রোহী দিয়োজানকে কারামুক্ত করেন এবং সকল অপরাধ ক্ষমা করে দেন। তারপর রাণী এভদোকেয়া রোমান দিয়োজানকে বিয়ে করে তাকে কনাষ্টোন্টিপোলের কায়জারের ক্ষমতায় বসান। যদিও কনাষ্টোন্টিপোলের অভিজাতরা,টেকফুররা এবং সাধারণ জনগন

বিদ্রোহী রোমান দিয়োজানকে পছন্দ করে না। কায়জার দিয়োজান সবার মন জয় করার জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নেন আনাতোলিয়ার যে ভুমি গুলো হারিয়েছেন, সেগুলো পুনরাই উদ্ধার করবেন।
সুলতান আল্প আর্সলানের অনুপস্থিতিতে তার দখলকৃত জমি গুলো উদ্ধার করতে বেশ কয়েক জন টেকফুর এবং কমান্ডারকে চারদিক থেকে আক্রমন করতে নির্দেশ দেন।

৩. মুসলিম উম্মাকে ঐক্যবদ্ধ করতে সুলতান আল্প আর্সলানের প্রথম পদক্ষেপঃ সুলতান আল্প আর্সলান অর্ধেক সেনা আনাতোলিয়াই রেখে মিশরের দিকে অগ্রসর হন। মিশরে যাওয়ার পথেই সেফেরিয়া সুলতানের প্রসব ব্যাথা শুরু হয় এবং সেফেরিয়া সুলতান ও সুলতান আল্প আর্সলানের ২য় পুত্র সন্তানের জন্মগ্রহণ করে। সুলতান আল্প আর্সলান ২য় পুত্রের নাম “আয়াজ” রাখেন।
মিশরে যাওয়ার পর তার প্রথম প্রক্ষেপ ছিল।

আলেপ শহরে শাসনকর্তা আমীর মাহমুদ বিন মেরদাসেরে আনুগত্য অঙ্গীকার করানো সুলতান আল্প আর্সলানের প্রতি। এই সমস্যার সমাধান করতে মিশরের উজিরের দূত হিশাম দায়িত্ব নেয়। হিশাম মুলত কনাষ্টোন্টিপোলের গুপ্তচর হয়ে কাজ করতো। হিশাম আলেপ যায় এবং আমীর মেরদাসকে প্রস্তাব দেই যাতে তিনি সুলতান আল্প আর্সলানের নিকট আনুগত্য আঙ্গীকার করেন এবং তার সাথে যাতে দেখা করেন। দূত হিশাম সুলতান আল্প আর্সলান ও আমীর মেরদাসের মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে একটি মিথ্যা কথা বলেন।

তা হলো: আমীর মেরদাস সুলতান আল্প আর্সলানের আনুগত্য অঙ্গীকার করলেও তাকে হত্যা করা হবে। হিশামের এই কথা বিশ্বাস করে সুলতান আল্প আর্সলানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সুলতান আল্প আর্সলান ২য় বার আমীর মেরদাসের কাছে দূত পাঠান কিন্তু ২য় বারও সেই একই উত্তর দেন।

তারপর ইয়াকুতি বে দূত হিশামকে সন্দেহ করেন যে, কোন জামেলা আছে দূত হিশামের মধ্যে। কারণ সুলতান আল্প আর্সলান বিশ্বাস করতেন যে, আমীর মেরদাস তার প্রতি আনুগত্য অঙ্গীকার করবেন।কারন আমীর মেরদাস শুরু থেকে সুলতান আল্প আর্সলানের খুতবা পাঠ করে আসছে। তারপর ইয়াকুতি দূত হিশামের পিচু নেয় এবং আমীর মেরদাসের কাছে প্রমণিত করেন যে, দূত মুলত এই ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি করেছে।

দূত হিশাম কে হাতে নাতে ধরতে তৃতীয় বার আমীর মেরদাসের নিকট পাঠায়। দূত হিশাম কনাষ্টোন্টিপোল এর সাথে এক হয়ে সুলতান আল্প আর্সলানের বিরুদ্ধ লড়াই করার পরামর্শ দেই। আর এদিকে কনাষ্টোন্টিপোল থেকে কায়জার রোমান দিয়োজান একটি সেনাবাহিনী পাটাই আমীর মেরদাস কে সহযোগীতা করতে। যেহেতু সুলতান আল্প আর্সলান বুঝতে পারলেন এখানে ষড়যন্ত চলছে তখন আল্প আর্সলান ও আমীর মেরদাস মিলে কনাষ্টোন্টিপোলের সেনাবাহিনী ও দূত হিশামকে ফাঁদে ফেলেন। সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করেন এবং দূত হিশামকে হত্যা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button