কুরুলুস উসমান ১৪১ বাংলায় রিভিউ দেখুন
কুরুলুস উসমান ১৪১ বাংলায় রিভিউ দেখুন
৫. উরহান বে’র পছন্দের হাতুন হোলোফেরা এবং মালহুন হাতুনের জন্য উপযুক্ত পুত্রবধূ আয়সা হাতুন:
মালহুন হাতুন সীমান্তবর্তী বাজারে আয়সা হাতুন পছন্দ করেন তার ছেলে উরহান বে’র হাতুন হিসাবে। এদিকে উরহান বে’র পছন্দে হাতুন হলো হোলোফেরা। হোলোফেরাকে উরহান বে ভালোবাসে এবং হোলোফেরাও। মালহুম হাতুন আয়সা হাতুনকে ইয়েনিশেহিরের ভোজে আমন্ত্রন জানান জাতে উরহান ও আয়সা হাতুন একে অপরকে জানতে পারে।
আয়সা হাতুন উরহান বে’র জন্য মিষ্টান্ন তৈরি করে নিয়ে আসেন যাতে উরহান বে’র মন জয় করতে পারে। আর এসব কর্মকান্ড হোলোফেরা দেখে উরহানের প্রতি অভিমান বাড়তে শুরু করে।উরহান বে এবং হোলোফেরা যখন সামনা সামনি হয় তখন হোলোফেরা উরহানকে জিজ্ঞাসা করে যে, তার মার কথা তার মন পরিবর্তন করে ফেলেছে কিনা। উত্তর উরহান বলে যে, হোলোফেরার প্রতিই তার মন স্থির আছে এবং হোলোফেরার জন্য যা করার প্রয়োজন তা করবে। উরহান কথা দেই যে, সে তার মাকে বুঝাবে এবং এই সমস্যা সমাধান করবে।
৬. ছদ্মবেশী ফয়সাল বে অর্থাৎ ভ্যাসিলিসের আসল পরিচয় প্রকাশ: উসমান বে ইয়েনিশেহির প্রাসাদের বিশ্বাসঘাতক কে তার খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন বাইন্দার বেকে। বাইন্দার বে ফয়সালকে জিজ্ঞাসা করে তার পরিবার কেমন আছে। উত্তরে ফয়সাল বলে ইনেগুল জয়ের সময় তার বাবা মারা যান এবং তার মা তালশায় থাকেন। ফয়সালের কথার সত্যতা যাচাই করতে বাইন্দার তালশায় যান।
গিয়ে দেখেন তার তথ্য মিথ্যা। ফয়সাল যখন বুঝতে পারে বাইন্দার বে সত্যতা যাচাই করার জন্য তালশায় যাবে, তাই ফয়সাল ছদ্মবেশী ভ্যাসিলিস বাইন্দার বে’র জন্য ফাঁদ তৈরি করে রাখে। বাইন্দার বেও পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যায় এবং তার ফাঁদ প্রতিহত করে। কিন্ত ভ্যাসিলিস ছদ্মবেশী ফয়সাল পালিয়ে যায়।
৭. উস্তাদ ঘেরা আর কমান্ডার কারাজালাসোনের নতুন ষড়যন্ত এবং আলাউদ্দিন বে ইয়াকুপ বে’র হাতে বন্দি: উস্তাদ ঘেরার আস্তানায় কমান্ডার কারাজালাসোন যায়। উসমান বে ও ইয়াকুপ বে’র মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে তারা পরিকল্পনা করতে বসে। ঠিক তখন ভ্যাসিলিস উপস্থিত হয় এবং বলে যে, বাইন্দার বে তার আসল পরিচয় জেনে ফেলেছে এবং বিষের প্রতিষেধক আলাউদ্দিন বে পেয়েছে।
তখন উস্তাদ ঘেরা কারাজালাসোনের কাছে জানতে চাই কি বিষ তারা ব্যবহার করেছিল এবং তাকে বিষ দেওয়ার জন্য। কারাজালাসোন এক শিশি বিষ দেয়। তারপর উস্তাদ ঘেরা ভ্যাসিলিসকে এই এক শিশি বিষ ইয়াকুপ বে’র কাছে যেতে বলে। ভ্যাসিলিস ছদ্মবেশী ফয়সাল ইয়াকুপ বেকে গিয়ে বলবে সে উসমান বে’র হয়ে কাজ করতো। কারাজালাসোন ও উসমান বে এক সাথে মিলিত হয়ে সীমান্ত বাজারে আক্রমণ করে এবং ইয়াকুপ বেকেও আক্রমণ করে। বিষও উসমান বেই দিয়েচেন।
ছদ্মবেশী ফয়সাল সীমান্তবর্তী বাজারে যায়। বাইন্দার বে ও আলাউদ্দিন বে ফয়সালকে আটকায়। কিন্তু ফয়সাল ইয়াকুপ বে’র সামনে উসমান বে’র উপর মিথ্যা উপবাদ দিতে থাকে। তারপর ইয়াকুপ বে ফয়সালের কথা শুনতে তাবুতল নিয়ে যায়। উসমান বে কারাজালাসোনের সাথে মিলিত হয়ে কাজ করছে এসব আক্রমণ ও বিষক্রিয়ার সাথে উসমান বে জড়িত। প্রমাণে জন্য একজন মঙ্গল সৈন্য ফয়সালে কথা অনুযায়ী সাক্ষী দেয়।
এদিকে গঞ্জা হাতুন সাদেত হাতুনকে বলে দেয় যে, উসমান বে কম সংখ্যক লোক নিয়ে কারাজালাসোনের আস্তানায় যাবে। ফয়সালের কথা আর গঞ্জা হাতুনের কথার মিল পেয়ে ইয়াকুপ বে’র মধ্যে উসমান বে’র প্রতি ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। আর এই করণে ইয়াকুপ বে আলাউদ্দিন বে ও তার সহযোদ্ধাদের বন্দি করে।
অপর দিকে উসমান বে ও উরহান কারাজালাসোনের আস্তানায় যায় তাকে হত্যা করতে।তারপর ইয়াকুপ বেও তার সৈন্য নিয়ে কারাজালাসোনের আস্তানায় যায়। কারাজালাসোন, উসমান বে জ ইয়াকুপ বে মুখামুখি হয়। কারাজালাসোনও অভিনয় শুরু করে যে, সে এবং উসমান বে মিলিত হয়ে কাজ করছে। more